বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

বাংলাদেশ মসজিদ মিশন

পরিচিতি

সংগঠনের নাম : বাংলাদেশ মসজিদ মিশন
প্রতিষ্ঠাকাল : ২৫ শে নভেম্বর ১৯৭৩ ইং
সমাজ কল্যাণ রেজিষ্ট্রেশন নং- ঢ-০৪০৯
এন . জি. ও রেজিঃ নং- ৬৫৬
ঠিকানা : কেন্দ্রিয় মসজিদ, কাটাবন
নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১০০০
ফোন : ৯৬৬১৪২৪, ৫৮৬১৭৪৭৪
ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৫৮৬১৭৪৭৪
ই-মেইল : [email protected]

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :

এলাকার সকল মসজিদকে মসজিদে নব্বীর আদর্শে হিদায়াত জারী হওয়ার প্রতিষ্ঠানরূপে গড়ে তুলে মসজিদ কেন্দ্রীক সমাজ ব্যবস্থা কায়েমের প্রচেষ্টার মাধ্যমে আল্লাহ্ সন্তুষ্টি অর্জন করা।

কর্মসূচী : এ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য মসজিদ মিশনের রয়েছে ৩ দফা কর্মসূচী।

১ম দফা : তাবলীগ ও দাওয়াত

আল্লাহ রব্বুল আলামিন মানুষ সৃষ্টির পর থেকেই যুুগে যুগে অগনিত নবী ও রসুল (আলীইহিমুস্সালাম) পাঠিয়ে উম্মতকে দ্বীনে হকের প্রতি সর্বদা দাওয়াত দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন : আমি প্রত্যেক উম্মত তথা জাতির মধ্যে রসুল পাঠিয়েছি, যারা এ দাওয়াত দেবেন যে : “তোমরা একমাত্র আল্লাহ তায়ালারই ইবাদত করো এবং তাগুত ও আল্লাহদ্রোহী শয়তান থেকে দুরে থাকো।” (আল-কুরআন) আল্লাহ তায়ালার জমীনে তারই দ্বীনের দাওয়াত স¯প্রসারণ করার লক্ষ্যে এবং সমাজ থেকে শিরক্, বিদয়াত, কুসংস্কার ও যাবতীয় অনৈসলামিক কর্মকান্ড দূর করার জন্য বাংলাদেশ মসজিদ মিশন ‘তাবলীগ ও দাওয়াত’ কর্মসূচী হাতে নিয়েছে ।

ক) তাবলীগ : ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং শান্তি নিরাপত্তা, শিক্ষা, অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা, সুস্থতা, সর্বোপরি মানবজীবনের সকল দিকের পরিপূর্ণতার চরম বিকাশ ইসলামকে পূর্ণাঙ্গরূপে অনুসরণের মাধ্যমেই সম্ভব। ইসলামের এ পূর্ণাঙ্গ রূপটি সহজ, সুন্দর, প্রাঞ্জল ভাষায় এবং কর্মের মাধ্যমে মানুষের কাছে উপস্থাপন করা।

খ) দাওয়াত : ইসলামের শাশ্বত ও পূর্ণাঙ্গ দাওয়াত মানুষের কাছে পৌঁছানো এবং ইসলামী অনুশাসন মানার আহ্বান জানানো। মসজিদ মিশনের উন্নয়ন মূলক কর্মসূচী বাস্তবায়নে সমাজের লোকদের অংশ গ্রহণের দাওয়াত দেয়া। দাওয়াতের মাধ্যম –
                ক) জুমুয়ার খুতবা ও পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের জামায়াতের আগে বা পরে।
                খ) তাফসীর, ওয়াজ মাহফিল, আলোচনা সভা ইত্যাদি।
                গ) ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক দাওয়াত।
                ঘ) পরিচিতি, লিফলেট, বই পুস্তক বিলি ও পোষ্টারিং ইত্যাদি।
                ঙ) দাওয়াতী সপ্তাহ, দাওয়াতী অভিযান, সুধী সমাবেশ ইত্যাদি।
                চ) পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে দাওয়াত।

২য় দফা : শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ

ক) শিক্ষা :

“শিক্ষাই আলো।” শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। এজন্য প্রধম ওহী নাযিল হয় “ইক্করা” তথা পড়ো”। বাংলাশে মসজিদ মিশন দেশের সকল মসজিদকে মসজিদে নব্বীর আলোকে গড়ে তোলার যে কর্মসূচী নিয়েছে তা বাস্তবায়নের জন্য সমাজের সকল স্তরে শিক্ষার সম্প্রসারণ করার বাস্তব পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আক্ষরিক জ্ঞান দেবার পাশাপাশি ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে নৈতিক জ্ঞানদানের মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষকে আদর্শ নাগরিকরূপে গড়ে তোলার জন্য “শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ” কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে।

১. আদর্শ ফোরকানিয়া মক্তব :

শিশু কিশোরদের মধ্যে সহীহ কোরআন তেলাওয়াত শিক্ষা, মৌলিক ইসলামী শিক্ষা প্রদান, বাংলা লেখা এবং পড়া শিক্ষা, প্রাথমিক অংক শিক্ষা, আরবী ও ইংরেজী বর্ণমালা এবং শব্দের সাথে পরিচয় করানো, স্বাস্থ্য ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও ইসলামী আদব কায়দা শিক্ষা দেয়।
২. বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র :

মসজিদ কেন্দ্রীক এই শিক্ষালয়ে প্রয়োজনীয় মাসয়ালা মাসায়েল সহীহ কেরাত, ইসলামের মৌলিক ধারণা, অক্ষর জ্ঞান, সাধারণ হিসাব নিকাশ, স্বাস্থ্য ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা এবং সমাজ উন্নয়ন মূলক শিক্ষা প্রদান করা।
৩. আদর্শ হিফ্জখানা :

আল কুরআনের আলোকে আদর্শ হাফিজ তৈরী করা, যারা হবেন নবী করীম (স.) এর ওয়ারিশ, একজন যোগ্য দায়ী, হিফ্জ এর সাথে সাথে আরবী, বাংলা ও ইংরেজী ভাষা শিক্ষা দেয়া।

৪. সবার জন্য শিক্ষা :

সবার জন্য শিক্ষা কর্মসূচী বাস্তবায়নের লক্ষে সরকার পরিচালিত কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদান করা এবং ইসলামের মৌলিক শিক্ষা প্রদান করা।
১। স্বাস্থ্য, পুষ্টি স্যানিটেশন, বিশুদ্ধ পানি পান ও ব্যবহার ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরিচর্যা সংক্রান্ত জ্ঞান অর্জনে মসজিদ এলাকার নারী পুরুষদের মধ্যে উদ্বুদ্ধমূলক সভা সমাবেশ করা।
২। সাপ্তাহিক, পাক্ষিক বা মাসিক তাফসির মাহফিল, দরসে হাদিস ও ইসলামী বিষয় ভিত্তিক আলোচনার ব্যবস্থা করা।
৩। জুমুয়ার খুতবায় সমসাময়িক আথ-সামাজিক, নৈতিক ও দ্বীনি বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সমাধান প্রদান করা।
৪। মসজিদ কেন্দ্রীক ইসলামী পাঠাগার স্থাপন করা।

খ) প্রশিক্ষণ :

বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর মধ্যে “ইমাম প্রশিক্ষণ” বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। মসজিদের ইমাম সাহেবদের সঠিকভাবে ইমামতির যোগ্যরূপে গড়ে তোলার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক সকল কর্মকান্ডে ইমামগণ যাতে ভূমিকা রাখতে পারে সে সকল বিষয়ে ইমামদেরকে সচেতন করে তোলাই ইমাম প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য। উল্লেখ্য যে ইমাম প্রশিক্ষণের জন্য ইমামদের যাতায়াত, থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা, বিভিন্ন ধরণের পুরস্কার, খাতা, কলম, সার্টিফিকেট ইত্যাদি সকল জিনিসসহ যাবতীয় ব্যয়ে মসজিদ মিশন বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার সহায়তায় ব্যবস্থা করে। মিশনের কেন্দীয় দায়িত্বশীলদের পাশাপাশি সরকারের মন্ত্রী, এম. পি, স্থানীয় মেয়র, এস.পি-ডি.সি সহ বিভিন্ন স্তরের সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তাগণ এ সমন্ত প্রশিক্ষণ বিষয়ভিত্তিক আলোচনা রাখেন।
১. কেন্দ্রীয়ভাবে এবং জেলা, থানা ও ইউনিয়ন ভিত্তিক ইমাম প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, যাতে ইমামগণ  শুধু মসজিদেরই নন বরং সমাজেরও ইমাম হিসেবে নিজেদের যোগ্যরূপে গড়ে তুলতে পারেন।
২. মাসয়ালা মাসায়েল শিক্ষা, সাময়িক পাঠ, সহীহ কুরআন শিক্ষা, দায়িত্বশীল ও মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণসহ হিফ্জ, কেরাত হামদ ও না’ত প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা।
৩. মসজিদ কেন্দ্রীক সংগঠিত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র বিমোচন ইত্যাদি কর্মসূচীর সাথে সংশ্লিষ্ট সদস্য-সদস্যাদের ইসলামী ও সামাজিক বিভিন্ন দিক সম্পর্কে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।

৫. হজ্জ প্রশিক্ষণ :

অভিজ্ঞ আলেমদের সমন্ব^য়ে বিনামূল্যে হজ্জ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। মসজিদ মিশন কেন্দ্রীয়ভাবে এবং জেলা ভিত্তিক হজ্জ প্রশিক্ষণ বাস্তবায়ন করে থাকে।

৬. শিক্ষক প্রশিক্ষণ :

শিক্ষকদের নৈতিক ও ইসলামী জ্ঞান দেয়ার বাস্তব প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।

৩য় দফা :  সমাজ সেবা ও সংস্কার

ক) সমাজ সেবা ও উন্নয়ন কার্যক্রম :
দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচী :

অবহেলিত ও অত্যন্ত নিম্নো বেতনভুক্ত ইমাম-মুয়াজ্জিন এবং সমাজের দরিদ্র নারী পুরুষের আর্থÑসামাজিক অবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে এই কর্মসূচী।
কর্মসূচীর বৈশিষ্ট্য নিুরূপ :
এর অন্তর্ভূক্ত সদস্য-সদস্যাগণ গ্রুপ বৈঠকের মাধ্যমে ইসলামের প্রাথমিক ও মৌলিক বিষয়ে বাস্তবধর্মী জ্ঞান অর্জন এবং সামাজিক জ্ঞান বিশেষ করে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরিচর্যা, স্যানিটেশন, নিরক্ষরতা দুরীকরণ, মা ও শিশুর টিকা প্রদান, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান লাভ করে ও মেনে চলে।
সদস্যদের আয়বর্ধন মূলক কর্মসূচীতে বিনিয়োগ প্রদান করা হয়। এই বিনিয়োগের অর্থ সাপ্তাহিক কিস্তিতে ফেরত যোগ্য।
সদস্য-সদস্যাগণ ব্যক্তিগতভাবে সঞ্চয় করার সুযোগ পায়।

আমাদের দেশে পানি ও বায়ু বাহিত বিবিধ রোগে প্রতি বছরে বিপুল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয় এবং মৃত্যু বরণ করে। এ সমস্ত রোগ বিস্তারের অন্যতম কারণ হলো সুষ্ঠু স্যানিটেশন ব্যবস্থা না থাকা। মসজিদ মিশন সকলের জন্যে স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে টিউবওয়ের, স্যানিটারী ল্যাট্টিন, ওয়াটার রিজার্ভার, ডাষ্টবিন ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা করে থাকে।
           ক)  মসজিদ কেন্দীক দাতব্য চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠা।
           খ)  এতিমদের সাহাষ্য।
           গ)  দুর্যোগের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো।
           ঘ)  অভাবী লোকদের দাফনÑকাফনের সাহাষ্য করা।
           ঙ)  মেধাবী অথচ দরিদ্র ছাত্রÑছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করা।
           চ)  পরিবেশ সংরক্ষণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ ও বৃক্ষ রোপন করা।
          ছ)  সবার জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইমাম সাহেবদের                      নেতৃত্বে বিভিন্ন ধরণের কর্মসূচীর মাধ্যমে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা।

সমাজ কল্যাণ তহবিল :-
দুঃস্থ মানবতার সেবায় মসজিদ মিশন কেন্দ্রীয় “সমাজ কল্যাণ তহবিল” গঠন করেছে। আল্লাহ তায়ালার খাস্ মেহেরবানীতে যাকাত, ফিতরা, এককালিন অনুদান, দেশী-বিদেশী দতাদের দান ও দাতা সংস্থার অনুদানের সমন্বয়ে বৎসরে লক্ষ লক্ষ টাকা, একান্ত থেকে শিক্ষা, চিকিৎসা, এককালিন সাহায্য, মেয়ের বিবাহ, পূণর্বাসন ইত্যাদি খাতে ব্যয় করা হয়। মিশনের জেলা, থানা ও মসজিদ শাখা সমূহতেও সমাজ কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়। স্থানীয়ভাবে এ তহবিলের আয়-ব্যয় সংরক্ষিত থাকে।
কেন্দ্রীয় সমাজ কল্যাণ তহবিল, বাংলাদেশ মসজিদ মিশন, হিসাব নং ২০৬৭/৯ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ, নিউ মার্কেট শাখা।

 

     খ) সমাজ সংস্কার কার্যক্রম :

  •  কুসংস্কার ও অশিক্ষার বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা।
  • শিরক্-বিদয়াত দূর করার বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
  • নগ্নতা, অশ্লীলতা, মদ্যপান, জুয়া ও অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ করা।
  • যৌতুক ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক ব্যবস্থা গ্রহণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা।
  • ধুমপানসহ সকল ধরণের নেশার হাত থেকে যুব সমাজসহ সকল মানুষকে রক্ষার জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা।
  • জনগণকে তাদের হক ও পারস্পরিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা।

সদস্য হওয়ার নিয়ম :

যে কোন প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলমান অন্তত নামাজ পড়েন, ইসলামের সকল বিধান মেনে চলতে ইচ্ছা রাখেন এবং মসজিদ মিশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ও কর্মসূচীর সাথে ঐক্যমত পোষণ করেন, তিনি সদস্য পদের আবেদন পত্র পূরণ করে মিশনের সংশ্লিষ্ট জিলা কার্যকরী কমিটির অনুমোদন ক্রমে সদস্য হতে পারবেন এবং প্রত্যেক সদস্যকে ভর্তি ফি বাবদ কমপক্ষে ৫.০০ (পাঁচ টাকা) ও নির্ধারিত হারে মাসিক চাাঁদা প্রদান করতে হবে।

সদস্যদের কর্তব্য :

  • প্রত্যেক সদস্যকে মিশনের গঠনতন্ত্র, কাউন্সিল ও কার্যকরী কমিটির সদ্ধিান্তবলী ও উপবিধি মেনে চলতে হবে।
  • আমল বিল আরকান অর্থাৎ কালেমা, সালাত, ছাওম, হজ্জ, ও যাকাতের আমল করা।
  • কুরআন ও হাদীস ভিত্তিক জ্ঞান অর্জন করা।
  • “তাযকিয়ায়ে নাফস” অর্থাৎ আত্মার পরিশুদ্ধির জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা চালানো।
  • মসজিদ মিশনের দাওয়া কর্মসূচী শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দারিদ্র্য বিমোচন সহ অন্যান্য কর্মসূচী বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখা।
  • সমাজ উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণ করা।

শাখা গঠনের পদ্ধতি :

কোন জামে মসজিদে কমপক্ষে ৭ জন মুসল্লী মিশনের সদস্য হলে সেখানে তাঁরা নিম্নো লিখিতভাবে মিশনের শাখা সংগঠন কায়েম করতে পারবেন।

ক্রমিক  পদের নাম    সর্বনিম্নো  সর্বোচ্চ
০১ সভাপতি
০২  সহ-সভাপতি
০৩  সাধারণ সম্পাদক
০৪  যুগ্ম সম্পাদক 
০৫   অর্থ সম্পাদক
০৬   শিক্ষা সম্পাদক    ০ 
০৭ সাংগঠনিক সম্পাদক ১  
০৮ প্রচার সম্পাদক  ০ 
০৯  সমাজ কল্যাণ সম্পাদক 
১০  সদস্য ০ 
    মোট     ৭  ১৮

মসজিদের সম্মানিত ইমাম, মুয়াজ্জিন, মুতাওয়াল্লী এবং মসজিদ কমিটির দায়িত্বশীলগণের নিকট বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের আকুল আবেদন।

আস্সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
হাদীস অনুযায়ী মসজিদই হলো দুনিয়ার “শ্রেষ্ঠতম স্থান”। আল্লাহ্ পাক আপনাদেরকে এই মহান স্থানের খেদমত করার যে সুযোগ দান করেছেন সে জন্য আপনাদেরকে মোবারকবাদ জানাই। আপনারা নিশ্চয়ই এ সুযোগকে আপনাদের প্রতি আল্লাহর খাস্ মেহেরবানী মনে করেন। আপনাদের দ্বারা পরিচালিত মসজিদ সমূহ মুসলিম সমাজে সত্যিকার মর্যাদার আসন লাভ করুক এটা আপনাদের অবশ্যই কাম্য। আল্লাহ্ পাক ও তাঁর রাসূল (সাঃ) মসজিদকে মুসলিম সমাজের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলবার জন্য যে তাগীদ দিয়েছেন সে অনুযায়ী আপনাদের মসজিদকে গড়ে তুলবার উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশ মসজিদ মিশন তিন দফা কর্মসূচী পেশ করেছে।
আপনাদের মহল্লার মসজিদকে গড়ে তুলবার জন্য এ কর্মসূচীকে আপনারা পছন্দ করবেন বলেই মিশনের বিশ্বাস। এ কর্মসূচীর বাস্তবায়নে আপনার মসজিদের মুসল্লীদের দ্বারাই সম্ভব। বাইরে থেকে কেউ আপনার মসজিদকে উন্নত করার দায়িত্ব নেবে না। মসজিদ ভিত্তিক এ কর্মসূচীকে বাস্তবে চালু করার কাজে মিশনের অভিজ্ঞ কর্মীরা আপনাদের সাথে সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত। তারা আপনাদের খেদমতে হাজির হলে আশা করি তাদের অভিজ্ঞতা থেকে আপনারা মসজিদ মিশনের কেন্দ্রীয় অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। মসজিদ আল্লাহর ঘর। মিশন রচিত কর্মসূচী মোতাবেক আল্লাহর ঘরকে আবাদ করলে মহল্লায় আল্লাহর রহমত বেশী হবে বলে আশা করা যায়। আপনাদের মসজিদ উন্নতমানে গড়ে উঠলে আশেপাশের মসজিদও এপথে এগিয়ে আসবে। এভাবে মুসলিম মিল্লাহ শান্তি ও আখিরাতের মুক্তির পথে অগ্রসর হোক এটাই মসজিদ মিশনের উদ্দেশ্য।
আপনাদের নিকট আকুল আবেদন জানানো যাচ্ছে যে, আপনারা মেহেরবানী করে মসজিদ মিশনের পরিচিতি ও গঠনতন্ত্র মনোযোগ দিয়ে পড়ে ধীরচিন্তে ফয়সালা করবেন।

  •  মসজিদ মিশনের ডাকে সাড়া দেওয়া আপনাদের দ্বীনি দায়িত্ব কি না ?
  • মসজিদ মিশনের ৩ দফা কর্মসূচী আপনাদের মসজিদের সমাজের সকলের জন্য উপকারী কি না ?
  • আপনাদের মসজিদকে এলাকার মুসলিম সমাজের আকর্ষনীয় কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে চান কি না ?
  • আসুন সকলে মিলে বাংলাদেশের সকল মসজিদকে মসজিদে নব্বীর আলোকে হেদায়েত জারীর কেন্দ্র রূপে গড়ে তুলে মসজিদ সমূহকে পুনর্জীবিত করি।

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের তাওফিক দিন। আমিন